বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মার্কিন প্রকৌশলীকে মুক্তি দিল আফগান নেতার বিনিময়ে তালেবান

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

২০০৫ সাল থেকে মার্কিন হেফাজতে থাকা আফগান উপজাতীয় নেতার বিনিময়ে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ২০২০ সাল থেকে জিম্মি করে রাখা একজন মার্কিন প্রকৌশলীকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার কাবুল বিমানবন্দরে মার্ক ফ্রেরিচকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। খবর বিবিসির।

ফ্রেরিচের বিনিময়ে তালেবান তাদের মিত্র হাজী বশির নুরজাইকে পেয়েছে, যিনি মাদক পাচারের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।

মার্কিন সরকার বা ফ্রেরিচের পরিবার এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে ফ্রেরিচকে মুক্ত করার কথা বলেছিলেন।

তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন,’আজ মার্ক ফ্রেরিচকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হাজী বশিরকে কাবুল বিমানবন্দরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতন এবং তালেবান গোষ্ঠী আবার ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে ৬০ বছর বয়সী ফ্রেরিচকে অপহরণ করেছিল তালেবানরা।

ফ্রেরিচ ১০ বছর ধরে নির্মাণ প্রকৌশলী হিসেবে কাবুলে বসবাস এবং কাজ করছিলেন। প্রাক্তন এই নৌ সেনাকে আটক করা মার্কিন এবং তালেবানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে একটি বড় বাধা হয়ে ছিল। তবে তালেবান সরকার এখনও বিশ্বের কোনো দেশের স্বীকৃতি পায়নি।

এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানীতে ফিরে আসার পর বশির নুরজাইকে বীরের মতো স্বাগত জানানো হয়। তালেবান যোদ্ধারা তাকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানায়।

বশির সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একজন আমেরিকানের সাথে আমার মুক্তি দুই দেশ মধ্যে শান্তি স্থাপন করবে। ‘

বশির তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং বন্ধু ছিলেন। ১৯৯০ এর দশকে তিনি তালেবান সরকারকে প্রথম আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন।

তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘তিনি কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না, তবে অস্ত্রসহ শক্তিশালী সমর্থন দিয়েছেন। ‘

বশির হেরোইন চোরাচালানের জন্য ১৭ বছর মার্কিন হেফাজতে ছিলেন। বিচারকরা বলেছেন, আফগানিস্তানের দক্ষিণে তালেবানদের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রভূমি কান্দাহার প্রদেশে তিনি বিপুল পরিমাণ আফিম চাষ করতেন।

২০০৫ সালে তার গ্রেপ্তারের সময়, তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ীদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তিনি আফগানিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি মাদক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতেন। ২০০৮ সালে নিউইয়র্কের একটি আদালত যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ মিলিয়ন ডলারের হেরোইন পাচারের ষড়যন্ত্রের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সূত্র : বিবিসি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION